শিশু কখন মারাত্মক ডেঙ্গুতে আক্রান্ত, কিভাবে বুঝবেন

Comments · 943 Views

শিশুটি মারাত্মক ডেঙ্গুতে আক্রান্ত কি না, তা উপসর্গ দেখে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। বিস্তারিত

শিশুটি মারাত্মক ডেঙ্গুতে আক্রান্ত কি না, তা উপসর্গ দেখে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। বিস্তারিত জানাচ্ছেন প্রফেসর ড. প্রণব কুমার চৌধুরী, সাবেক প্রধান, শিশু স্বাস্থ্য বিভাগ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।

যদি শিশুর 104 ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি জ্বর থাকে, সারা শরীরে ফুসকুড়ি, মাথাব্যথা, পেটে ব্যথার লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে দ্রুত নিশ্চিত করতে হবে যে সে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত কি না। উল্লিখিত উপসর্গসহ যদি শিশুর হাত-পা ঠান্ডা থাকে, জ্ঞান হারায়, শরীরের কোনো অংশ থেকে রক্তক্ষরণ হয়, তাহলে ধরে নিতে হবে শিশুটি ডেঙ্গু-শকে মারাত্মকভাবে আক্রান্ত। এ অবস্থায় শিশুকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করে শিরায় স্যালাইন দিতে হবে। রক্তে প্লেটলেটের সংখ্যা 10,000/মিমি কিউবের নিচে নেমে গেলে প্লেটলেট দিতে হবে।

কখন বুঝবেন মারাত্মক ডেঙ্গুতে আক্রান্ত শিশু
যদি শিশুর 104 ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি জ্বর থাকে, সারা শরীরে ফুসকুড়ি, মাথাব্যথা, পেটে ব্যথার লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে দ্রুত নিশ্চিত করতে হবে যে সে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত কি না। উল্লিখিত উপসর্গসহ যদি শিশুর হাত-পা ঠান্ডা থাকে, জ্ঞান হারায়, শরীরের কোনো অংশ থেকে রক্তক্ষরণ হয়, তাহলে ধরে নিতে হবে শিশুটি ডেঙ্গু-শকে মারাত্মকভাবে আক্রান্ত। এ অবস্থায় শিশুকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করে শিরায় স্যালাইন দিতে হবে। রক্তে প্লেটলেটের সংখ্যা 10,000/মিমি কিউবের নিচে নেমে গেলে প্লেটলেট দিতে হবে।

গুরুতর লক্ষণ

পেটে ব্যথা, ক্রমাগত বমি হওয়া, পানি ধরে রাখা, নাক দিয়ে রক্ত পড়া, চরম ক্লান্তি, অস্থিরতা, লিভার বড় হয়ে যাওয়া, রক্তে হেমাটোক্রিট বেড়ে যাওয়া এবং রক্তের প্লেটলেট দ্রুত কমে যাওয়া।

- রক্তচাপ কমে যাওয়া

- শরীরের যে কোন অংশ থেকে রক্তপাত

- কিডনি, লিভার, স্নায়ুতন্ত্রের সমস্যা

- ফুসফুসে ও পেটে পানি জমে

- উচ্চ হেমাটোক্রিট

- 50 হাজার/মিমি কিউবের কম প্লেটলেট বা প্লেটলেট।

এসব লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে।

জটিলতাবিহীন ডেঙ্গু

শিশু যদি খেতে ও পান করতে সক্ষম হয়, প্রতি ছয় ঘণ্টায় একবার প্রস্রাব করতে পারে এবং কোনো বিপজ্জনক উপসর্গ না থাকে, তাহলে তাকে বাড়িতে রেখে এই প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া যেতে পারে।

বেশি তরল খাবার ও পানীয় যেমন ওরাল স্যালাইন, ফলের রস খেতে হবে।

জ্বর কমাতে প্যারাসিটামল (15 মিলিগ্রাম/কেজি/ডোজ) দেওয়া যেতে পারে। যাইহোক, অ্যাসপিরিন, আইবুপ্রোফেন, ইত্যাদি বা অন্য কোন গ্রুপের ওষুধ কখনই মৌখিকভাবে বা সাপোজিটরি হিসাবে দেওয়া উচিত নয়।

বাড়িতে, শিশুর খাদ্যাভ্যাস, প্রস্রাবের ফ্রিকোয়েন্সি, জ্বরের মাত্রা, রক্তপাত ও চেতনা ইত্যাদি পর্যবেক্ষণ করতে হবে।

রোগ নির্ণয়

জ্বরের দুই দিন পর ডেঙ্গু অ্যান্টিজেন টেস্ট এবং জ্বরের পাঁচ দিন পর ডেঙ্গু অ্যান্টিবডি টেস্টের মাধ্যমে ডেঙ্গু নির্ণয় করা হয়।

ডেঙ্গুর পরিণতি

পর্যাপ্ত চিকিৎসার মাধ্যমে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর হার ১ শতাংশ। কিন্তু ডেঙ্গু হেমোরেজিক জ্বর, ডেঙ্গু শক সিনড্রোম, প্রসারিত ডেঙ্গু—মারাত্মক ডেঙ্গু—মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি (5 শতাংশের মতো)।

শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হওয়ায় ডেঙ্গু মারাত্মক হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে। অতএব, এই রোগের তীব্রতা 10-14 বছরের তুলনায় 3-10 বছরের শিশুদের মধ্যে বেশি।

Comments